সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
ইশারাত আলী ::
কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে আনিত দলীয় শৃঙাখলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে গত ২১অক্টোবর। সাথে সাথে গুঞ্জন শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে তাহলে কি বিদ্রোহীরা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন? এমন জিঙ্ঘাসার জবাব মিলেছে খোদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রি ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন ”সাংগঠনিক ইউনিট গুলোর কাউন্সিলে বিদ্রোহীদের প্রার্থী হতে বাঁধা নেই”। তথ্য সুত্র নয়া দিগন্ত অনলাইন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রি ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। এখন তারা তাদের প্রিয় নেতা সাঈদ মেহেদীকে নিয়ে সামনের রাজনীতির ময়দানে আবার জামায়াত শিবিরের তান্ডব মোকাবেলা করবেন।
আওয়ামী পরিবার ও ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতার অভিযোগ ছিল গত উপজেলা নির্বাচনের আগে কথিত কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। ঐ কাউন্সিলে সবার চেয়ে কম ভোট পাওয়া এক প্রার্থীকে নেীকার প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়ায় হয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ মেহেদীর চেয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
পরে উপজেলা নির্বাচনের পর সারা দেশে বিদ্রোহীদের নিয়ে একটি যঢ়যন্ত্র তৈরী হয়। এসময় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ থেকে কেন তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী মর্মে কারন দর্শানোর নোঠিশ পান। পরে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারন ব্যাখ্যা করেন এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থেকে মুক্ত হন।
অসিত মল্লিক যিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত, তাকে জিঙ্ঘেস করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাঈদ মেহেদীর ব্যাপারে। তিনি বলেন তার পরিবার আওয়ামী পরিবার, সে কলেজ ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে জয় লাভ, পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচনে জয় এবং উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এমন ধারাবাহিক আওয়ামী রাজনীতি করা নেতা কালিগঞ্জে নেই বল্লেও চলে। তাকে ছাড়া কালিগঞ্জের রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা আমাদের দলের জন্য ক্ষতির ছিল। এখন তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা দারুন খুশি তিনি কাউন্সিল করতে পারবেন যেনে।
মোক্তার হোসেন বলেন, কালিগঞ্জে আওয়ামীলীগ পরিবার গুলোর মধ্যে অন্যতম তার পরিবার। আমরা উপজেলা নির্বাচনের আগে হতবাগ হয়েছিলাম তাকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায়। তিনি যঢ়যন্ত্রেও স্বিকার হয়ে ছিলেন। আমরা তাকে নিয়ে বেশ উদ্বেগ ছিলাম। এখন আবার আমরা আশান্বিত।
এব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার ছায়াতলে থেকে রাজনীতি করাই আমার কাজ। সে লক্ষে আমি আমার বাকী জীবন কাটাতে চাই। আমার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমি জবাব দিতে পেরেছি। আমাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রিকে আমার ও কালিগঞ্জ বাসির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
Leave a Reply